Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

জয়পুরহাটে বছরে ৮০ ট্রান্সফরমার চুরি

জয়পুরহাটের ফসলের মাঠগুলো থেকে চলতি বছরে অন্তত ৮০টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদনে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন কৃষকরা। ...

জয়পুরহাটের ফসলের মাঠগুলো থেকে চলতি বছরে অন্তত ৮০টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদনে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন কৃষকরা। জরুরি সেচ দিতে গিয়ে নতুন ট্রান্সফরমার কিনে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সেচপাম্প মালিকদেরও। চুরি হওয়া ট্রান্সফরমারগুলোর একটিও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছেন সেচপাম্প মালিকরা। তারা আরও জানান, চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারগুলোর মূল্য অন্তত ৬ কোটি টাকা।

জানা গেছে, জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আওতায় সেচপাম্পের ট্রান্সফরমারগুলো চুরি হওয়ার পর সেগুলো উদ্ধার না হওয়ায় নতুন করে কিনে সেচ দিতে হচ্ছে ফসলের মাঠে। গত এক বছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চুরি হওয়া ৮০ ট্রান্সফরমারের মধ্যে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসেই চুরি হয়েছে ৪০টি। চুরি হওয়া ট্রান্সফরমারের মূল্য ৬ কোটি টাকা হবে দাবি করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বরেন্দ্র বহুমুুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

বিএমডিএ সূত্র জানায়, ট্রান্সফরমারগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপারেটরদের প্রতি ঘণ্টার জন্য ১০ টাকা করে কমিশন দেওয়া হলেও চুরি ঠেকানো যায়নি। তাদের কয়েক মাসে ২১টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, ট্রান্সফরমারগুলোর ভেতরে ১২ থেকে ২০ কেজি পরিমাণ তামার তার রয়েছে। প্রতি কেজি তামার মূল্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সরকারি মূল্যের ৫০ ভাগ অর্থ জমা দিলে পুনরায় সেচপাম্প মালিকদের ট্রান্সফরমার দেওয়া হয়। তবে দ্বিতীয়বার চুরি হলে সেচপাম্প মালিকদের ট্রান্সফরমারের ১০০ ভাগ অর্থ জমা দিয়ে ট্রান্সফরমার নিতে হবে।

জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ১ হাজার ৮৭৫টি গভীর, ৩ হাজার ৪৯৩টি অগভীর ও দুটি এলএলপি নলকূপ রয়েছে। আর বিএমডিএর ৩৫৯টি গভীর নলকূপ রয়েছে। জেলায় ৫ হাজার ৩৭০টি নলকূপ ও প্রায় ৮ হাজার ট্রান্সফরমার রয়েছে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই-মীরগ্রাম এলাকার সেচপাম্প মালিক হাফিজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমার সেচপাম্পের তিনটি ট্রান্সফরমার কয়েক দিন আগে চুরি হলে আলুসহ অন্যান্য ফসলি জমিতে সেচ সংকট দেখা দেয়। এতে কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছিল বলে আমি ধারকর্জ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ৯৩ হাজার টাকা জমা দিয়ে ট্র্রান্সফরমার নিয়ে কৃষকদের জমিতে পানি দিয়ে ফসল রক্ষা করেছি।’

একই উপজেলার কয়তাহার গ্রামের সেচপাম্প মালিক আবদুল মজিদ মল্লিক বলেন, ‘গত ২৭ অক্টোবর আমার পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি। ফসল রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে ট্রান্সফরমার সংগ্রহ করে সেচ কাজ চালু রেখেছি। ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধে পুলিশসহ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার এনামূল হক প্রামানিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরি হলেই থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। তামা কেজি দরে বিক্রি করতে ট্রান্সফরমারগুলো চোর নিয়ে যায়।’

বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চোরচক্রকে না ধরলে কৃষকদের ক্ষতি হতেই থাকবে।’

এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরির ব্যাপারে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ট্রান্সফরমার উদ্ধারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানাগুলো তথ্য দিতে পারবে।’

রেজাউল করিম রেজা।

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place