Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

কালাইয়ে আলুর দরপতনে বিপাকে কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিক

জয়পুরহাটের কালাইয়ে আলুর দরপতনে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগারের মালিকরা। এ অবস্থায় দ্রুতই দেশের বাইরে আলু রপ্তানির উদ্যোগ ...


জয়পুরহাটের কালাইয়ে আলুর দরপতনে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষক, ব্যবসায়ী ও হিমাগারের মালিকরা। এ অবস্থায় দ্রুতই দেশের বাইরে আলু রপ্তানির উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা গেলে আলু চাষাবাদে কৃষকরা হারাবেন উৎসাহ এবং এ ব্যবসা পড়বে হুমকির মুখে বলেও মনে করেন তারা।


সরেজমিন উপজেলার হিমাগারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের এই সময়ে আলুর ভালো দাম থাকায় প্রতিটি হিমাগারেই সংরক্ষণকৃত আলু বিক্রি করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল হিমাগারের শ্রমিক ও কর্মচারীদের। অথচ এবার একই সময়ে আলু সংরক্ষণকারীদের উপস্থিতি একেবারেই নেই বললেই চলে। এলাকার বিভিন্ন হিমাগারে এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত আলুর তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণও বিক্রি হয়নি।


শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাথাইল গোপীনাথপুর পল্লী হিমাগারে সংরক্ষণকৃত এক লাখ ১৮ হাজার বস্তা আলুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০ হাজার বস্তা। এ ছাড়া উপজেলার মোলামগাড়িহাট নর্থপোল, বৈরাগীরহাট সাউথপোল, বালাইট সালামিন ফুডস, সড়াল নরওয়েস্ট, আরবি স্পেশালাইস্ট, সরাইল এম ইসরাতসহ ১১  হিমাগারে দেখা যায় একই চিত্র।


গত মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর উৎপাদন ও দাম ভালো পান কৃষকরা। এবারও এমন হবে এ আশায় মৌসুমের শুরুতে আলু বিক্রি না করে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারে বেশি বেশি আলু মজুদ করেন। ফলে হিমাগারের খরচসহ প্রকার ভেদে ৬০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা আলুর খরচ পড়েছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা আলু গড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকায়। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বস্তা প্রতি গড়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।


কৃষকরা ক্ষোভ নিয়ে জানান, গত বছর আলুর দাম বেশি থাকায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু এবার লোকসান ঠেকাতে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। সরকার যদি এ সময় দ্রুতই দেশের বাহিরে আলু রপ্তানির উদ্যোগ না নেন অথবা টিসিবি কিংবা টিআর, কাবিখার মতো সরকারি প্রকল্পে সরকারি রেশন হিসেবে হিমাগার থেকে আলু ক্রয় না করেন, তা হলে এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। অনেকে মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বেন বলেও মনে করেন তারা।


এ বিষয়ে আলু ব্যবসায়ীরা জানান, বেশি লাভের আশায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনে নিয়ে বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করেছিলেন তারা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাপে থাকার কারণে দাম কম হওয়ায় সত্ত্বেও কিছু  আলু বিক্রি করেছেন তারা।  আর বাকিগুলোও লোকসানে বিক্রি করলে, তাদের পথে বসতে হবে।


এ অবস্থায় সরকারের কাছে তাদের দাবি, সরকারিভাবে হিমাগার থেকে আলু কিনে বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নিলে নিঃস্ব হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন তারা।


হিমাগার সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারিভাবে আলু কিনে বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে গত ৫ সেপ্টম্বর ‘কোল্ড স্টোর অনার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র পক্ষ থেকে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কারণ এখন বাজারে যে দামে আলু বিক্রি হচ্ছে, তাতে অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারের ভাড়া আর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না।


ঋণের টাকার সুদ মওকুফের ঘোষণা দিয়েও সারা মিলছে না ব্যবসায়ীদের। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আলু সংরক্ষণের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অথচ হিমাগারে সংরক্ষিত আলু উত্তোলনের আগ্রহ নেই কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। এতে হিমাগার মালিকরাও নিসন্দেহে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন তারা।


এটিএম সেলিম সরোয়ার।


কোন মন্তব্য নেই

Ads Place