Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Hover Effects

TRUE
{fbt_classic_header}

Header Ad

ব্রেকিং নিউজ

latest

Ads Place

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

 দীর্ঘ ৩ মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হল দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় প...


 দীর্ঘ ৩ মাস ৮ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে চালু হল দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় পেঁয়াজবোঝাই প্রথম ট্রাকটি বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয় আমদানির কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ভোক্তা ও আমদানিকারকদের মধ্যে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা থাকায় আমদানি বন্ধ থাকলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে দ্রুত অস্থিরতা দেখা দেয়। ঠিক একই কারণে গত তিন মাসে বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।

গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এতে ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়।

একজন আমদানিকারক বলেন, আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহ কমে যায়। এ সুযোগে দালাল-ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। আমদানি শুরু হওয়ায় আশা করছি দু'এক দিনের মধ্যেই দাম আরও কমে আসবে।

দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্থিরতা ঠেকাতে সরকার গত শনিবার রাতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। এই সিদ্ধান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার সকাল থেকেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে।

হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

একজন স্থানীয় ক্রেতা সাহার আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। আজ বাজারে এসে দেখি দাম কমছে। আরও কমলে ভালো হবে।

হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এম আর জামান বাধন জানান, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রথম ভারতীয় পেঁয়াজবাহী ট্রাকটি দেশে প্রবেশ করেছে। বাজারে দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে খালাসের কাজ দ্রুত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব পেঁয়াজগুলো বাজারে পৌঁছানো গেলে দাম স্থিতিশীল হবে। এজন্য কাস্টমস বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রায় ২০ জন আমদানিকারক আইপি (অনুমতি) পেয়েছেন। পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করছে এবং নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খালাসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা না দিলে এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে।

পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষ আশা করছে বাজারে দ্রুত স্বাভাবিকতা ফিরবে। ব্যবসায়ীরাও মনে করছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দাম আরও কমে আসবে।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি সচল থাকায় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং পেঁয়াজের মূল্যস্থিতি বজায় থাকবে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম।

কোন মন্তব্য নেই

Ads Place